WBCS MAIN QUESTION PAPER ENGLISH - TRANSLATE

  1. Translate the following passages into English : 40

(১) রবীন্দ্রনাথ ধনীর সন্তান। তার পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ নামে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সে ধনের সামান্য কিছুমাত্র তার সৌত্ররা পেয়েছেন। প্রিন্স দ্বারকানাথ একটা ব্যবসায়িক সামাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। তারপর হঠাৎ কি করে সেই সাম্রাজ্যের পতন হলো, সে রহস্যের সমাধান এখনো হয়নি, আর কখনো হবে বলে মনে হয় না। কারণ শুনেছি তার ব্যবসা সংরুপ্ত যাবতীয় কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পৌত্রদের মধ্যে অনেকেই পিতামহের অনুসরণে ব্যবসা করতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু কেউ সুফল পাননি। জ্যোতিরিচ্দ্রনাথের জাহাজের ব্যবসা ফেল পড়লো। রবীন্দ্রনাথের কুষঠিয়ার ব্যবসাও তাই। যাক, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে আমি অনধিকারী। আর অনাবশ্যকও বটে। কিন্তু যে জন্যে এ প্রসঙ্গের অবতারণা করলাম, তা নিতান্ত অকারণে নয়। রবীন্দ্রনাথ সারাজীবন বিশ্বভারতীর জন্য ভিক্ষা করে বেড়িয়েছেন। আশানুরূপ ফল পাননি। প্রিন্সদ্বারকানাথের পৌত্র ভিক্ষারথী, তার অভাবকে কেউ গুরুতর মনে করেনি। তবু কিছু দিতে হয়েছে।

(২) দিদার হাত ধরে মাঝেমধ্যে যেতাম পিছাবনি হাটে। পিছাবনি এক আশ্চর্য নাম। পিছাবনি দীঘা-কীথি রাস্তায় একটি পুরাতন গঞ্জ। লবণ আইন সত্যাগ্রহের অন্যতম ধাত্রীভূমি। পিছাবনী বাজারে একটা শহীদস্মৃতি স্তঙ্ভ আছে। 'পিছাবনী-কীথি অঞ্চল ছিল কায়স্তসস্তান বীরেন শাসমলের কর্মস্থল (তার জীবনী “মোতের তৃণ'তে এই স্থানের নাম আছে)। পূর্বের নাম ছিল নিমদাসবাড়। লবণ সত্যাগ্রহে পুলিশের গুলির সামনে দাড়িয়ে আন্দোলনকারীরা ঠিক করেন তাঁরা লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পিছিয়ে যাবেন না। খালি হাতে দীড়িয়ে আইন অমান্য করবেন। গপনিবেশিক পুলিশের নির্মম লাঠিবৃষ্টির সামনে শয়ে শয়ে মানুষ পড়ে গেছেন, অন্যরা এগিয়ে এসে তাদের জায়গা নিয়েছেন। বিশেষত মেদিনীপুরের মেয়েরা এক ইতিহাস তৈরি করেছিলন সেই আন্দোলনে আত্মদানের মাধ্যমে। তারা না পিছিয়ে আইন অমান্য করেন পিছাবনি খালের মাটিতে লবণ তৈরি করে। সে লড়াইয়ের স্মরণে স্থানটির নাম মুখের কথায় পিছাবনি হয়ে যায়। আন্দোলনের তীব্রতায় স্থানের নাম পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া এক অসম্ভব রূপকথা। 'পিছাবনি খালের জল নিয়ে শুধু আইন ভাঙাই নয়, তার পরেও নূন তৈরি করেছেন মেদিনীপুরের লোকেরা। এটি , তাদের জীবনযাপনের একটা নিয়মিত ধরণ ছিল।

  1. Translate the following passages into English : 40

    পাহাড়ে ঘেরা অস্ট্রিয়ার ছোট্ট শহর সাসবুর্গ-এর বিশেষ খ্যাতি ও পরিচিতি মুখ্যত দুটি কারণে। প্রথম, এটাই বিশ্ববিখ্যাত প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতজ্ঞ মোজার্টের জন্মভূমি। দ্বিতীয়ত একদা সাত সাতটা অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র “সাউন্ড অব মিউজিক'-এর বেশ কিছু অংশের শুটিং হয়েছিল এই শহরে। এই শহরটি আজ বিশ্বের ভ্রমণপিপাসু লোকেদের কাছে স্বপ্নের শহর হিসাবে চিহ্নিত। এছাড়াও এই শহরের স্বিগ্ধ আকাশ, বিশুদ্ধ বাতাস ও মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে প্রতিবছর ভ্রমণার্থীরা ছুটে আসেন সাল্সবুর্গে।

    ঠিক রাত্রি দুটোর সময় ঘুম ভেঙে গেল রমেনবাবুর। তার সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে, হৃদস্পন্দন বোধ হয় মিনিটে একশো কুড়ি। একদম সিনেমার মতো স্পষ্ট দেখছেন তিনি। খোলা সমতল রাস্তা, হু হু করে ছুটে চলেছে তার গাড়ি, তার পাশে বসে আছেন কোন এক নারী সহযাত্রী। তার গাড়ি দুর্দমনীয় বেগে ছুটে চলেছে একটা ট্রাকের দিকে। সবথেকে আশ্চর্ষের বিষয়, সেই মহিলাটি দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তেও তাকিয়ে ছিলেন রমেনের দিকে। বিস্ময় আর করুণা মেশানো সে চাহনি, বড়ো নিভীকিও বটে।

  1. Translate the following passages into English : 40

    বাড়িটা তাঁর বাড়ির কাছেই । যেতে আসতে সুজাতা বাড়িটা অনেকবারই দেখেছেন, কখনো ঢোকেননি কার বাড়ি তা জানেন না । পুরোনো দিনের দোতলা বাড়ি, সামনে টানা বারান্দা, বাড়ির ওপরে মেট্রো নকশা, গায়ে লেখা পূর্ব-গঙ্গা নগর, সম্ভবত মালিকের গ্রামের নাম । সুজাতার চোখের সামনে বিশ বছরে বাড়িটার চেহারা কলকাতার মত হয়ে গেল । খানিকটা নতুন ঝকঝকে, এনামেল রঙে উদ্ধত, জানালার নীচে এয়ারকুলার । খানিকটা জীর্ণ, পলেস্তারা খসা, জানালায় শাড়িকাটা ময়লা পর্দা । নীচে রাস্তার সামনে ঘরে ঘরে ধোবিখানা, হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান, রেডিও মেরামতি দোকান । শরিকে শরিকে ঐশ্বর্য ও দারিদ্র ভাগ হয়ে গেছে, বোঝা যায় ।

    অন্ধকার প্যাসেজ পেরিয়ে শরিকি উঠোনের পাশে একটা বড়ো ঘর । বাড়ির পেছন দিকে এটা । সামনে একটা অযত্নের আতাগাছ । ঘরটার দেওয়াল ও ছাতের আস্তর খসা, মেঝের সিমেন্ট ওঠা । একটা বড়ো তক্তপোশ । আলমারিতে ময়লা ও অব্যবহৃত আইনের বই, আলমারির তালায় জং ।

Translate any one of the following passage into English :      40

  1. কলকাতায় এসে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁতে বিরিয়ানি খাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দিল্লির যুবক আরমান আলি । কিন্তু, রেস্তোরাঁ যাওয়ার আগে মনে মনে প্রশ্ন উঁকি মারল, রেস্তোরাঁতে হুইল চেয়ার, ঢোকার র‍্যাম্প আছে তো ? আশঙ্কাই ঠিক প্রমাণিত হল । শহরের বহু নামী রেস্তোরাঁতে র‍্যাম্প নেই । আরমানের মতো প্রতিবন্ধী যুবক বিভাস দাস শোনালেন পদে পদে ঠোক্কর খাওয়ার গল্প । পোলিয়োতে দুটি প্রা আক্রান্ত তার । সমাজের সচেতনতার অভাব কিন্তু এই যুবকদের দমিয়ে দেয়নি । শত বাধা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জিতেছেন ওঁরা । সেই জীবনযুদ্ধে নানা বাধা অতিক্রম করবার গল্প শোনালেন তাঁরা, আমেরিকান সেন্টারে । বিভাস জানালেন, তিনি ক্রাচ নিয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ান, প্যারা অলিম্পিকে হুইল চেয়ার ফেনসিং -এ রুপো জিতেছেন । তিনি বলেন, 'ক্রাচটা আমার কোনো দুর্বলতা নয় বরং শক্তি ।' সমাজের কাছ থেকে তারা জানান, তারা কোনো দয়া চায় না, চায় আরেকটু সচেতনতা ।

  2. কলেজ স্কোয়ার শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটে দেব লাইব্রেরির ঘর জুড়ে সার সার বই । নানা লেখকের মধ্যে আলাদা করে জায়গা রয়েছে তাঁর । সেদিক থেকেই কয়েকটি বর্ণপরিচয় হাতে তুলে নিয়ে লাইব্রেরির ইনচার্জ বলেন, "হঠাৎই যেন সকলে বিদ্যাসাগর নিয়ে মেতে উঠেছেন । আমাদের দোকানেই কয়েকদিনে অনেকেই বর্ণপরিচয় নিতে এসেছেন । এসব মূর্তি ভাঙার জন্য হচ্ছে কিনা জানি না । তবে বিদ্যাসাগর কোথাও যেন নতুন করে জেগে উঠেছেন ।" বই পাড়ার খবর, এখন বহু প্রকাশনী সংস্থা বর্ণপরিচয় বই বিক্রি করলেও আগের বর্ণপরিচয়ের স্বত্ব ছিল শুধু দেব সাহিত্য কুটিরের হাতে । তাদেরই একজন দেব লাইব্রেরিতে বসে সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরিহিত সত্তরোর্ধ্ব বলছিলেন, "সেদিন মিছিলটা কলেজ স্ট্রিট দিয়ে যাওয়ার আগেই আমি বাড়ি চলে গিয়েছিলাম । টিভি খুলে দেখি এই কান্ড । বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে দেখে প্রথমে খারাপ লাগলেও, পরে মনে হয়েছে, এতে ওঁকে নিয়ে চর্চা বাড়ল, নইলে কাচের বাক্সে বন্দি লোকটাকে সকলে কতটা চিনতেন ।"

Translate any one of the following passage into English :      40

  1. ১৯১৪ : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে । ফ্রান্সের সীমান্ত ফ্লান্ডার্সে, বিস্তৃত বার্লি ও শালগম ক্ষেতের মাঝে ছিল যাকে বলা হত নো ম্যানস ল্যান্ড । আর সেই নো ম্যানস ল্যান্ডেই সে বার বড়দিনে অদ্ভুত এক কান্ড দেখল গোটা বিশ্ব । বড়দিনে এক রকম যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হল । ইংল্যান্ড ও জার্মানি দুই পক্ষের সেনা নিজ ট্রেঞ্চ থেকে বেরিয়ে এল । দুই যুযুধান পক্ষের ওই সম্মুখসমরের মাঝমধ্যিখানে আচমকা এক ইংরেজ সেনা বের করে ফেললেন একটি ফুটবল । এর পরেই বদলে গেল গোটা আবহ,সহসা । বারুদগন্ধ মাঝে জাগিয়ে তোলা হল ফুলের আবহ ।  ওই সুবর্ণগোলক ! দুই পক্ষ তৎক্ষণাৎ দল গড়ে একটি প্রাণখোলা ফুটবল খেলায় মগ্ন হল । তার পর এমন অনেকগুলিই খেলা হয়েছিল, কিন্তু এই প্রথম বেড়াভাঙ্গা আজও ইতিহাস ।

  2. একবিংশ শতকে পদার্পণের পর প্রায় দু'দশক অতিক্রান্ত । ভারতীয় বিজ্ঞানের সাফল্য সাহিত্য শিল্প আধুনিকতা পিছনে ফেলে উত্তরাধুনিকতার দিকে নাকি ধাবমান । কিন্তু ভারতের সামাজিক মনোবৃত্তির গতি প্রকৃতির একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় যে ছবি প্রতীয়মান তা উদ্বেগজনক । পশ্চিমবঙ্গ সহ ছ'টি রাজ্যে কিশোরদের মধ্যে করা একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে ৫৯ শতাংশ কিশোরের বিশ্বাস গেরস্থালি সামলানোই মেয়েদের যোগ্য কাজ, ৫৪ শতাংশের ধারণা বাড়ির শেষ সিদ্ধান্তের মালিক হওয়া উচিত ছেলেদেরই, ৩১ শতাংশ মনে করেন ভার্ৎসনার জন্য মেয়েদের চপেটাঘাত করা যেতেই পারে এবং প্রতি তিনজন কিশোরের মধ্যে এক জনের মত, ধর্ষণের পরিস্থিতি তৈরি করে মহিলারাই । সমীক্ষাটির এই ফলাফলে যা সবিশেষ উদ্বেগের বিষয় তা হল প্রাচীনতায় আক্রান্তদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ র মধ্যে , অর্থাৎ যারা ভবিষ্যতের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরি , যাদের উপর ন্যাস্ত সমাজের অগ্রগতির ভার ।

  1. Translate the following passage into English:        40

    ভালো চিঠি লিখতে গেলে খুব হালকাভাবে, দুলকি চালে কাজটিতে এগোতে হবে  । নৈর্ব্যক্তিক বা বিমূর্ত না হয়ে তোমাকে অন্তরঙ্গ হতে হবে । তুমি কিছুতেই বলবে না, "এটা বড়োই তুছ ব্যাপার, এ কথা লেখা চলবে না" । তোমাকে বরং বলতে হবে, " এই ধরনের তুছ সামান্য ব্যাপার নিয়েই তো আমরা সংসারে কথাবার্তা বলি । যদি আমি ওদেরকে একথা লিখি, ওরা আমাকে যেন চোখে দেখতে পাবে, আমার গলা শুনতে পাবে, আমি কি করছি তা জানতে পারবে " । এই ধারণাটি কিটস দারুণ প্রকাশ করেছেন তাঁর আমেরিকা প্রবাসী ভাই জর্জ ও তার স্ত্রীকে লেখা তাঁর সুদীর্ঘ চিঠিগুলির একটিতে । যে পারিবারিক স্নেহ-সম্পদ ছিল কিটসের চরিত্রের অন্যতম অতি মনোহর বৈশিষ্ট্য, তা তিনি এই সমস্ত চিঠিগুলিতে উজাড় করে ঢেলে দিয়েছেন । কীভাবে তিনি মাকে দেখতে গিয়েছেন, কীভাবে মা তাঁর ভোঁতা রসিকতাগুলি শুনে উপহাস করেছেন, কীভাবে তাঁর মিসেস মিলারের বাড়িতে চা খেতে গিয়েছিলেন । তিনি আরও লিখেছেন, "তোমাকে লেখার এত কথা আছে যে সেই লেখাতে কোনো পারম্পর্য বা শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমার পক্ষে অসম্ভব । হৃদয়ের নয়, মনের উপরের কথাই আগে এসে পড়ে — আর তাছাড়া যখনই পারব, এখানে আমাদের জীবনের কথা তোমাদের জানাব ।"
  1. Translate the following passage into English:        40

    আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে ভারতের কাজে তোমার (সিস্টার নিবেদিতা) একটা ভবিষ্যৎ আছে ।  ভারতের জন্য, বিশেষত ভারতের নারী সমাজের জন্য, একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন । ভারতবর্ষ এখন মহীয়সী মহিলার জন্মদান করতে পারছেনা, তাই অন্য জাতি থেকে তাকে ধার করতে হবে । তোমার শিক্ষা, ঐকান্তিকতা, অসীম ভালোবাসা, দৃঢ়তা এসবের জন্য তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন । কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু । এদেশের দুঃখ, কুসংকার, দাসত্ব প্রভৃতি কী ধরনের তা তুমি ধারণা করতে পারো না । এদেশে এলে তুমি নিজেকে অসংখ্য নরনারীতে পরিবেষ্টিত দেখতে পাবে । তাদের জাতি ও স্পর্শ সম্বন্ধে বিরাট ধারণা । ভয়েই হোক বা ঘৃণায়ই হোক তারা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে এবং তারাও এদের খুব ঘৃণা করে । পক্ষান্তরে শ্বেতাঙ্গরা তোমাকে খামখেয়ালী মনে করবে এবং তোমার প্রত্যেকটি গতিবিধি সন্দেহের চোখে দেখবে ।

  1. Translate the following passage into English:        40

    অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক প্রিয়জনের মৃত্যু রবীন্দ্রনাথের দারুণ দুর্ভাগ্য । কিন্তু এই করুণ অভিজ্ঞতাকে রবীন্দ্রনাথ অপরিচিত হতে দেননি । তাঁর 'খেয়া' ও 'গীতাঞ্জলি' এই বেদনার রূপান্তর । তাঁর জীবন ও তাঁর কাব্য যেন এমন একটা পরিণতির প্রতিক্ষা করছিল । ফলের পক্কতার পক্ষে প্রখর রৌদ্রের প্রয়োজন ছিল । তাঁর মধ্যে কারুণ্যের সঞ্চার না হলে তিনি সকলের সব কালের কবি ও প্রতিভূ হতে পারতেন না । প্রিয়-বিয়োগের প্রভাব রবীন্দ্রনাথের প্রৌঢ়ত্বকে একান্ত মিস্টিক ভাবাপন্ন করলে তিনি ভগবানের মধ্যে হারানো প্রিয়দের সঙ্গ পেলেন, তাই ভগবান হলেন তাঁর প্রিয়তম । যিনি এতদিন পিতা ছিলেন, তিনি হলেন সখা ও প্রেমিক ।

    অকস্মাৎ রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীব্যাপী খ্যাতির অধিকারী হন । ইতিহাসে অনুরূপ ঘটনার উল্লেখ নেই । রোগশয্যাবিনোদনের জন্যে কয়েকটি বাংলা রচনার ইংরেজি তর্জমা করেছিলেন, সেগুলি কী মনে করে লব্ধপ্রতিষ্ঠ আইরিশ কবি ইয়েটসকে পড়তে দেন । একদা যেমন দুর্ঘটনার ভিড় জমেছিল একদিন তেমনি যশ, অর্থ ও সম্মান বন্যার মত দিগদিগন্ত ব্যাপ্ত করে এল । দুঃখের সময় যিনি অভিভূত হননি সুখের দিনেও তিনি অভিভূত হলেন না । বঙ্গের কবি বিশ্বের অর্ঘ্য সহজভাবে নিলেন ।

Translate one of the following passages into English .    40

  1. মেয়েদের শিক্ষার প্রথম যুগে যদিও উদ্দেশ্য ছিল চিত্তের উন্মেষ তবু বড়ো ঘরের কিছু মেয়েও সামাজিক বাধা অগ্রাহ্য করে অর্থকরী শিক্ষার দিকে গিয়েছিলেন । সমাজসেবার আদর্শ ছিল তাঁদের সামনে, গত পঞ্চাশ বছরে কলকাতার মেয়েদের সামনে উপার্জনের কত পথই যে খুলে গেছে তার পুরো হিসেব দেওয়া সম্ভব নয় । জজ-ম্যাজিস্ট্রেট, উকিল-অ্যাডভোকেট থেকে শুরু করে অফিসের স্টেনোগ্রাফার, ফার্মের রিসেপসনিস্ট, বিমানের সেবিকা, দোকানের পসারিণী সবেতেই শিক্ষিত মেয়েরা আছেন । ব্যাংক, পোস্ট অফিস আর টেলিফোনের চাকুরি তো আছেই । বরং গরিব ঘরের নিরক্ষর মেয়ের জীবিকা উপার্জনের ক্ষেত্রই অনেকটা সীমিত । গ্রামের দিকে চাষবাসের কাজ আর খনি অঞ্চলের খনি মজুরি তারা করতে পারে বটে । তবে কলকাতার মতো শহরে পরিচারিকার কাজ ছাড়া খুব আর কিছু খোলা নেই তাদের সামনে ।

  2. হসপিটালের বিছানায় কোমায় আচ্ছন্ন শিশু ‘ইফতে সাম’ । ঝোপের ভিতর পড়ে আছে সাত বছরের নিষ্পাপ শিশু যশের মৃতদেহ । কাটা ঘুড়িটা অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে, তির-তির করে কাঁপছে উদভ্রান্ত শরীর । ওর অবসান নেই । জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ছুটছে হাতি । দুরন্ত গতিবেগে ছুটছে ট্রেন । প্রচন্ড ধাক্কা । ছিটকে পড়ল বিশাল দেহি । শস্য খেতে গন্ডার ও তার শাবক তাড়া খেয়ে ছুটে পালাচ্ছে জঙ্গলের দিকে ।

    চারিদিকে বিস্ফোরণ । প্রতিহিংসা, সন্ত্রাসবাদ, উত্তপ্ত রাজনীতির আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলছে । পরিবহণ, শহর, নগর, লোকালয় লেলিহান অগ্নির গ্রাসে । জ্বলে পুড়ে ভস্ম হচ্ছে জনজীবন । ঝলসে যাচ্ছে ঐতিহ্য । আকাশের কালো মেঘের আস্তরণ ।

Shopping Cart